কাইস ইবনে রাফি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন; নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান, তোমরা কি জানো দুটো ঝাঁজালো তিক্ত সবজিতে প্রতিষেধক রয়েছে? সে দুটো হলো ঘৃতকুমারী ও রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাক। সুবহানাল্লাহ!
(আবু দাউদ শরীফ, বাইহাক্বী শরীফ)
কাইস ইবনে রাফি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান, আমি তোমাদেরকে রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাক খেতে বলছি। কারণ এতে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক রোগের শিফা রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! (আবু নাঈম শরীফ)
এই শাকের উষ্ণতা ও ঝাঁজ কোষ্ঠ্য পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ও কৃমি দূর করে। এটা যদি শুরা করে রান্না করা হয় তাহলে বুকের কফ পরিষ্কার হয়, মাথার চুল পড়া বন্ধ করে ও শ্বাসকষ্ট দূর হয়। এটাকে পাউডার করে যদি পাঁচ দিরহাম পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে পান করা হয় তাহলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর হয়। চর্মরোগের ক্ষেত্রেও এ শাকের উপকারিতা রয়েছে। রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাক কোমরের ব্যথা ও মাথা ব্যথা দূর করে, রক্তস্বল্পতা ও স্কার্ভি রোগ সারাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ কমায়, চুলের গোড়া শক্ত করে, ত্বকের ক্ষত সারায়। রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাক কাঁচাও খাওয়া যায়। কাঁচাপাতা সালাদ ও সুপে ব্যবহার করা যায়। পেটের কৃমি সারাতে ৬০ থেকে ১৫০ গ্রাম রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাক পানি কিংবা সুপের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। গোশত কিংবা মাছের সাথেও রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাক খাওয়া যায়। রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাকে উচ্চমাত্রায় আয়োডিন থাকায় খুব সহজেই হজম হয়। এতে আছে আয়রন, সালফার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, অতি উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, এ, বি ও বি-৩। এছাড়াও আল রাশাদ বা হেলেঞ্চা শাকে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি রয়েছে।
join our facebook group:
click here
click here

0 تعليقات